Read more
ব্লাড ক্যান্সার বা রক্তের ক্যান্সার নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত। সময়ের সঙ্গে এ ধরণের রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি পাল্টেছে ,অনেক উন্নতিও লাভ করেছে।
মূলত লিউকেমিয়াকে আমরা ব্লাড ক্যান্সার বলে থাকি। এটি হল রক্ত কোষের ক্যান্সার,বিশেষত শেত্ব রক্ত কণিকার ক্যান্সার। রক্তকোষ তৈরি হয় বোনম্যারো বা অস্থিমজ্জায় ,তারপর ধাপে ধাপে পরিপক্ক বা পরিণত হয়ে অবশেষে এটি রক্তে আসে। যদি কোনো কারণে অতিমাত্রায় ও অস্বাভাবিকভাবে এই রক্তকোষ তৈরি হয় ,তাহলে সেগুলো পরিপক্ক হতে পারে না। এতে প্রচুর অপরিপক্ক ও অস্বাভাবিক রক্তকোষ রক্তপ্রবাহে চলে আসে। মূলত শেত্ব রক্তকণিকায় বেশি আক্রান্ত হয়। কিন্তু ক্রমে ক্রমে অস্থিমজ্জা পুরোপুরি আক্রান্ত হওয়ার কারণে রক্তের অন্যান্য কোষের অভাব ও দেখা দেয়।কেন হয় : ব্লাড ক্যান্সার কেন হয় তার সঠিক কারণটি এখন ও অস্পষ্ট। নানা ধরণের তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব ,রাসায়নিক বর্জ্য ,ধূমপান ,কৃত্রিম রং ,কীটনাশক ,ভাইরাস ইত্যাদিকে দায়ী করা হয়। এগুলোর প্রভাবে জিনে মিউটেশন ঘটে যায় ও কোষ বিভাজনে অস্বাভাবিক উল্টা পাল্টা সংকেত প্রভাবিত হয়। তখন কোষ বিভাজনে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয় ,অপরিণত অস্বাভাবিক কোষ রক্ত প্রবাহে চলে আসে।
ব্লাড ক্যান্সার ছোয়াচে বা সংক্রামক নয়। ব্লাড ক্যান্সার ছোট বড় যে কারো হতে পারে।
কিভাবে বুঝবেন:দীর্ঘদিনের জ্বর ,রক্তশূন্যতা ,ত্বকে লাল রেশ ,দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্তপাত,হাড়ে ব্যথা ,বার বার সংক্রামক ইত্যাদি সব উপসর্গ নিয়ে প্রকাশ পেতে পারে ব্লাড ক্যান্সার। অনেক সময় কেবল রুটিন পরীক্ষা করতে গিয়েই ধরা পরে ব্লাড ক্যান্সার। রক্তের কাউন্ট ও পেরিফেরাল ব্লাড ফিল্মই বেশির ভাগ সময় রোগ ধরিয়ে দেয়। তবে বোনম্যারো পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হয়। ফ্লো সাইটোমেট্রি ,ইমিউনোফেনোটাইপিং ইত্যাদি আধুনিক পরীক্ষা যেকোন সরকারি হাসপাতালগুলোতেও হচ্ছে। সাইটোজেনেটিক্স করলে রোগের কেমোথেরাপির ধরণ সম্পর্কে ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়,রোগ সারাইয়ের সম্ভাবনা আচ করা যায়।
লিউকেমিয়া চিকিৎসায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। শিশুদের একিউট লিউকেমিয়ার চিকিৎসায় নিরাময়ের হার উন্নত বিশ্বে ৯০শতাংশ ছাড়িয়েছে। বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ও আধুনিক কেমোথেরাপি রোগীদের সেরে ওঠার আশার আলো দেখাচ্ছে।
1 Reviews
Thanks for the information
ReplyDelete