Healthy Bones And Way To Get it

Healthy Bones And Way To Get it

Size
Price: £2.99

Read more

সুস্থ হাড়ের জন্য যা করবেন 

হাড় আমাদের সমস্ত শরীরের ভার বহন করে। সুস্থ ও টেকসই হাড় পেতে হলে শৈশব থেকেই সচেতন হওয়া জরুরি। কেননা হাড়ের সর্বোচ্চ ঘনত্ব আমরা লাভ করি ৩০ বছর বয়সের আগেই। এরপর হাড়ের ঘনত্ব আর বাড়ে না,বরং সময়ের সাথে সাথে কমে। হাড়ের সুস্থতা নির্ভর করে এই অল্প বয়সে অর্জিত হাড়ের ঘনত্ব ,স্থিতিস্থাপকতা ও খনিজের ওপর।

হাড়ের সুস্থতার জন্য করণীয় :


  • চাই যথেষ্ট খনিজ : একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দিনে ১০০০ মিলিগ্রাম এবং নারীর ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা উচিত। নারীদের অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যপান করানোর সময় এবং মেনোপজের পরে এই চাহিদা আরও বেশি। উচ্চ ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার হচ্ছে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার ,নানা ধরণের ছোট মাছ ও সামুদ্রিক মাছ ,সবুজ পাতাযুক্ত শাক ,বাদাম ইত্যাদি। শৈশব ও কৈশোর থেকে ভালো মানের ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেলে মজবুত হাড় পাওয়া সম্ভব। 

  • ভিটামিন ডি :হাড়  সবল রাখার জন্য পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি দরকার। সূর্যালোকে আছে এই ভিটামিন। তাই দিনের একটি সময় রোদে হাটাহাটি  বা ব্যায়াম করা উচিত। এই অভ্যাস থাকা দরকার সব বয়সেই। এছাড়া তৈলাক্ত মাছ ,মাশরুম ডিম্ ইত্যাদিতে আছে ভিটামিন ডি। 

  • ব্যায়াম : নিয়মিত কায়িকশ্রম ও ব্যায়াম হাড়সন্ধিকে মজবুত করে। অল্প বয়সে তো বটেই ,এমনকি বেশি বয়সেও নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম করতে পারলে হাড়ক্ষয় বা ভঙ্গুর হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে।       

  • ওষুধ ও ধূমপান :ধূমপান হাড়ের  ভঙ্গুরতা বাড়ায়। এছাড়া যারা দীর্ঘদিন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ,খিঁচুনির কিছু ওষুধ ,মিথোট্রেক্সেট ,ওমিপ্রাজল ইত্যাদি সেবন করেন ,তাদের অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ে। 

  • রোগবালাই :কিছু কিছু রোগ যেমন রিয়োমাটোয়েড আরথ্রাইটিস,হাইপোগোনাডিজম ইত্যাদির কারণে হাড়ক্ষয়  বেশি হয়। নারীদের মেনোপজের পর বেড়ে যায় হাড়ক্ষয়ের আশংকা। তাই বয়স্ক নারীদের খাবারদাবার ও ব্যায়ামের দিকে বেশি সচেতনতা দরকার। যাদের সময়ের আগে মেনোপজ হয়েছে ( যেমন অল্প বয়সেই জরায়ু  ফেলে দেয়া  ) তারা চিকিৎসকের পরামর্শে হরমোন থেরাপি নিতে পারেন। হাড়ক্ষয়ের পরিমাণ জানতে  বিশেষ  পরীক্ষা করাতে পারেন এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে পারেন।      

0 Reviews

Contact Form

Name

Email *

Message *